হয়তো অর্জুন শ্রেষ্ঠ ধনুর্ধর নয়। হয়তো শ্রেষ্ঠ যোদ্ধা নয়।
কিন্তু অর্জুন সরল ছিলো, তাই যুদ্ধের শুরুতে অপরপক্ষে নিজের স্বজনদের দেখে তার আত্মা কেঁদে উঠেছিল। হিংসার সংগ্রামের মাধ্যমে সে রাজত্ব পেতে চায়নি। তাই অস্ত্র ফেলে দিয়েছিল।
অর্জুন কাতর স্বরে কৃষ্ণকে বলেছিল এভাবে রাজত্ব পাওয়ার থেকে বনে গিয়ে সন্ন্যাসী হয়ে যাওয়া ভালো। যুদ্ধ ছেড়ে দেওয়ার পূর্বে অর্জুন এও জানতো না অপরপক্ষে কর্ণ তার মায়ের পেটের ভাই।
হয়তো কর্ণ শ্রেষ্ঠ ধনুর্ধর ছিলো। শ্রেষ্ঠ যোদ্ধা ছিলো। মহা-দানী ছিলো। কিন্তু যুদ্ধের আগে থেকেই কর্ণ জানতো বিপক্ষে তার পাঁচটি ভাই আছে। তবু সে যুদ্ধ প্রত্যাহার করতে পারেনি। কারণ সে দুরাত্মা দুর্যোধনের থেকে রাজ্য ভোগের সুবিধা নিয়েছিলো। দুর্নীতিগ্রস্ত মানুষের থেকে সুবিধা নেওয়ায়, কর্ণ দায়বদ্ধ ছিলো অধর্মের পক্ষে যুদ্ধ করতে।
তাহলে কি প্রাপ্তি হলো শ্রেষ্ঠ হয়ে? যদি শ্রেষ্টতা দুর্নীতির পক্ষ নেয়? তাহলে কি শ্রেষ্টতার কিছু অবশেষ থাকে?
ঈশ্বর কোনোকালেই শ্রেষ্ঠ মানুষের সাথে থাকে না। থাকে সরলতার সাথে। কারণ এই পৃথিবীতে কেউ আজীবন শ্রেষ্ঠ থাকে না। তাকে কেউ না কেউ এককালে ছাপিয়ে যায়।
হরে কৃষ্ণ 🙏🏼
Ave
ek Chowdhury
No comments:
Post a Comment