Tuesday, January 25, 2022

হ্যারি পটার ও শ্রীকৃষ্ণ

 কাকতালীয় !


আমরা ভারতীয়রা কোনোদিন কোনো আবিষ্কারের ক্রেডিট নিতে চাইনা। ধরুন বিজ্ঞান এতো-এতো উন্নতি করছে।  সারা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের কাছে অত্যাধুনিক আবিষ্কারের পেটেন্ট আছে। কিন্তু ভারতবর্ষ কোনদিনও শূন্য আবিষ্কারের পেটেন্ট চায়নি। এমনকি ক্রেডিট ও চায়না। আমরা এরোপ্লেন আবিষ্কারের ক্রেডিট নেই'না। আমরা ডারউইনকে বিবর্তনবাদের জনক রূপে ক্রেডিট দেই। কারণ আমরা বিষ্ণুপুরাণ কি যথার্থ ভাবে উপলব্ধি করতে পারিনি। পারলে দেখতাম বিবর্তনবাদের সংকেত সেখানে খুব সহজে দেওয়া আছে। ব্যাসদেব ক্রেডিট চান না। যেমন তিনি জে.কে রাওলিং এর থেকেও হ্যারিপটার লেখার ক্রেডিট চাননি।


এটা বলার জন্য আমাকে অনেক কথা শুনতে হবে জানি। তাই চলুন আমরা হ্যারি পটার ও শ্রীকৃষ্ণের জীবনের সাদৃশ্য খুঁজে বের করি।


হ্যারি পটার গল্পের মুখ্য ভিলেন লর্ড ভলডেমর্ট কেন হ্যারিকে হত্যা করতে চাইতো ? এখানেও কারন ছিল একটি ওরাক্যাল। অর্থাৎ একটি দৈব ভবিষ্যতবাণী। লিলি পটার এবং জেমস পটারের সন্তানের হাতে ভলডেমর্টের মৃত্যুর দৈববাণী।


 মথুরারাজ কংসের  কৃষ্ণকে মারতে চাওয়ার কারণ ছিল সেই একটাই। নিজের বোন দেবকীর অষ্টম সন্তানের হাতে কংসের মৃত্যুর দৈববাণী।


কৃষ্ণ নিজের ভাই ও বোনের সাথে তার শৈশব কাটিয়েছিল। হ্যারি পটারের দুই ঘনিষ্ঠ বন্ধুর নাম রণ উইজলি এবং হারমাইনি। 


কৃষ্ণের ছোটোবেলার মতো হ্যারি পটারের ছোটবেলা নিজের বাড়িতে কাটেনি। কেটেছে ভিন্ন জায়গাতে। সেখানে তারা বাড়ির মতোই পারিবারিক ভালোবাসাতে বড় হয়। 


   কৃষ্ণকে মারার জন্য কংস বহু রাক্ষুস ও অসুর পাঠিয়েছিল গোকুল এবং বৃন্দাবনে।  হ্যারিকে মারার জন্য লর্ড ভলডেমর্ট  বহু মায়াবী জাদুকরকে পাঠিয়েছিল হগবর্টসে।


   কৃষ্ণ শৈশবে কালিয়া বলে এক বিশালাকার সাপকে দমন করে। সেই সাপ যমুনার জল বিষাক্ত করে দিয়েছিল। চেম্বার অফ সিক্রেটসে হ্যারি পটারকে কালদৃষ্টি বলে এক বিশাল আকার সাপকে হত্যা করতে হয়।


     ভগবান বৃষ্ণুর প্রিয় বাহন হচ্ছে গড়ুর পাখি ।। হ্যারি পটারের অনুগত একটি গড়ুর পাখি ছিলো। যাকে বাঁচানোর জন্য হ্যারি ও হারমায়নিকে টাইম ট্রাভেল করতে হয়। 


   এছাড়া আপনি চাইলে ডাম্বলডোর কে পিতামহ ভীষ্ম চরিত্র হিসেবে কল্পনা করতেই পারেন। হ্যারি পটার Harry Potter & The Deathly Hallows এর অন্তিম যুদ্ধকে একটু অন্য মাত্রায় এঁকেছেণ রাওলিং । এখানে হ্যারিকে উনি অর্জুনের জায়গায় দাঁড় করিয়েছেন। যুদ্ধক্ষেত্রে অর্জুন এর বিপরীতে যেমন তার প্ৰিয়জনরা ছিলো, হ্যারির বিপরীতের অবস্থাও তাই ছিল। সেখানে তার পরিচিতরাই তার শত্রু হয়ে দাঁড়িয়েছিল। এছাড়াও বহু মিল আছে। 


    জে কে রাওলিং কে আমি এই কারণেই আরো বেশী সন্মান করি যে উনি প্রকাশ্যেই এই সমানতার সংকেত রেখেছিলেন। তা না হলে নামটা হ্যারি পটার রাখতেন না। এবার চাইলে আপনি হ্যারি ও হরি এক ব্যক্তি ভাবতেই পারেন।


  রাউলিং এই  উপন্যাসটি লেখার আগে জীবনে অত্যন্ত কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে গেছিলেন। আজ আধুনিক পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ লেখিকাদের মধ্যে উনি একজন। ওনার কাছে আমি আজীবন কৃতজ্ঞ থাকব আমাকে হ্যারি পটার গিফট দেওয়ার জন্য।


যে মানবে না সে কিন্তু মগলু, আধুনিক নাস্তিক 😉


লেখা : Aveek Chowdhury


No comments:

Post a Comment

আপনার বর্তমান পরিচিতি, আপনার অতীতের চিন্তার ফল

 মানুষের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ মস্তিষ্ক। মস্তিষ্ক এমন এক আশ্চর্য শক্তি যা সর্বদা আপনার সাথে থাকে। সত্যজিৎ রায়ের সৃষ্ট বিখ্যাত গোয়েন্দা ফেলু...