Thursday, January 27, 2022

আপনার বর্তমান পরিচিতি, আপনার অতীতের চিন্তার ফল

 মানুষের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ মস্তিষ্ক। মস্তিষ্ক এমন এক আশ্চর্য শক্তি যা সর্বদা আপনার সাথে থাকে। সত্যজিৎ রায়ের সৃষ্ট বিখ্যাত গোয়েন্দা ফেলুদার মগজ অস্ত্রের মতো।

চেতনা দুটি স্তর থাকে বাহ্যিক স্তর অভ্যন্তরীণ স্তর। বলা যেতে পারে একটি সক্রিয় যা তর্ক করতে সক্ষম। ওপরটি তর্ক করতে সক্ষম নয়।  বাহ্যিক স্তর দিয়ে আমরা বাহ্যিক জগতকে অনুভব করি সেই মতো করে চিন্তার জন্ম দি। এই চিন্তা জমা হয় মনের অভ্যন্তরীণ স্তরে। অভ্যন্তরীণ স্তর যাকে আমরা সাবকনসাস মাইন্ড নামে জানি.এই বিচারধারা প্রকৃতির অনুরূপ পরিবেশ তৈরি করার কাজ করে।

 একটি চমকপ্রদ উদাহরণ।

“ আপনি নিজের ঘরের দিকে একবারটি চোখ বুলিয়ে দেখুন।  দেখতে পাবেন আপনার ঘরে যাবতীয় জিনিস যা সকল মজুদ আছে, সবই প্রায় আপনার কল্পনার ফল। যাদের আপনি প্রয়োজন বোধ করেছেন এবং যাদের কল্পনা করেছেন। বর্তমানে তারাই আপনার ঘরে মজুদ। আপনার পছন্দ করা হাতঘরি কি শীতের প্ৰিয় সোয়েটার।”

  এতে গুরুতর প্রমাণ আপনি কি আশা করেন ?

ঠিক তেমনি আপনি আপনার জীবনে যে পরিস্থিতিতে বর্তমানে দাঁড়িয়ে আছেন তা একমাত্র আপনি কল্পনা করেছেন। সর্বদা মনে রাখবেন আপনার অবচেতন মন যদি কোন বিচারধারাকে গ্রহণ করে নেয়, তখন আসছে তার প্রতি কাজ করা শুরু করে। অবচেতন মন অনুভূতির ভাষা বোঝে। অনুভূতিরা দু'প্রকার ভালো অথবা মন্দ। যদি আপনি সর্বদা খারাপ অনুভব করেন সেক্ষেত্রে অবচেতন মনে দুঃখ হতাশা ব্যর্থতা এই প্রকৃতির বার্তা পৌঁছয়। অনুরূপভাবে প্রকৃতি আপনার জন্য সেই  মায়াজাল তৈরি করে। বিপরীতভাবে আপনি যদি আনন্দ -সুখ-ভালোবাসা অনুভব করেন তাহলে আপনি আপনার চারদিকে সেই বস্তু গুলিকেই আকর্ষণ করবেন।
এই প্রকারের চিন্তাধারাই সুস্বাস্থ্য সমৃদ্ধি ও ও সফলতা প্রাপ্তির জাদু।
তাই নিজেকে দিনে বারংবার প্রশ্ন করুন আপনি কেমন অনুভব করছেন, নিজেকে তার উত্তর দিন আপনি দারুন অনুভব করছেন। নির্ভর করে না সেই মুহূর্তে আপনার পরিস্থিতি কি রকম কিন্তু আপনি অনুভব দারুন করছেন। এই বার্তা আপনার অবচেতন মনে পৌঁছাবে এবং অবচেতন মন সেই অনুযায়ী বাস্তবের প্রকৃত রূপ দিতে অগ্রসর হবে।

কোন নেতিবাচক শব্দ ব্যবহার করবেন না।

* ভালো লাগছে না।

*না আমার দ্বারা কিছুই হচ্ছেনা।


* আমার বয়স বেড়ে যাচ্ছে।

এ ধরনের চিন্তা থেকে সর্বদা বিরত থাকুন।

Tuesday, January 25, 2022

আকর্ষণের সূত্র : কৃতজ্ঞতা স্বীকার।


 কৃতজ্ঞতা প্রকাশ একটি বহুমূল্য গুন।

অনেকে চাইলেও মানুষের ভালো কাজের মূল্যায়ন করেনা। তারা ব্যস্ত থাকে সমালোচনায়। খারাপের দিকে চোখ থাকতে থাকতে, ভালো কি কি হয়েছে তা দেখা চোখের থেকে এড়িয়ে যায়। আকর্ষণের সূত্র বরাবরই এই নীতি মেনে চলে। যে যা চায় সে তাকে তাই দেয়। কেউ সমালোচনা করে দিন নষ্ট করতে চাইলে তাকে দেয়া পর্যাপ্ত সমালোচনা করার বিষয়। আর কেউ যদি মানুষের ভালো কাজের প্রতি কৃতজ্ঞ হয়, এবং তাদের কাজের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে।  বিনিময়ে তারা পায় ভালোবাসা।
কারণ এর আগে আমরা জেনেছি, ব্রহ্মাণ্ড যদি একটি বৃহৎ মস্তিস্ক হয়। এবং তার যদি ভাষা জ্ঞান না থাকে? তবে এর কাজ করার ভাষা কি ? সেই ভাষার নাম 'অনুভূতি'…
 ব্রহ্মাণ্ড কাজ করে অনুভূতিতে, অনুভূতি দুই প্রকারের হয় ভালো হতো বা মন্দ। কম ভালো কি বেশি ভালো, বেশি খারাপ কি কম খারাপ। যেমন চিন্তার সমীকরণ তেমনি তাদের ফলপ্রাপ্তি।

বিখ্যাত মানুষদের ঠোঁটে এই জন্য সবসময় থ্যাংক ইউ শব্দটি লেগেই থাকে। তাদের এই স্বভাব তাদেরকে আরো মহান করে তোলে।


 যে ছোট থেকে ছোট ব্যাপারে, পৃথিবীর ছোট থেকে ছোট জিনিসের প্রতি কৃতজ্ঞ পারে। তাকে ব্রহ্মান্ড্য আরো অনেক কিছু ফিরিয়ে দেয়,  আরো বেশি করে কৃতজ্ঞ হওয়ার জন্য । জীবত কি জড় যে কোন বস্তুর প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বীকার, ব্রহ্মান্ডে কাছে একটি সুস্পষ্ট মেসেজ পৌঁছায়। হ্যা আমি কৃতজ্ঞ  আমার জীবনে ঘটে যাওয়া ভালো ঘটনা গুলির প্রতি। তাই ছোট থেকে ছোট ভালো জিনিসের প্রতি তক্ষনাত কৃতজ্ঞতা স্বীকার 'ল অফ অ্যাট্রাকশনে'র অন্যতম একটি প্রাকটিস।

আপনি একটি তালিকা তৈরী করুন
 ছোট থেকে ছোট জিনিসের। যাদের প্রতি আপনি কৃতজ্ঞ  প্রত্যেকদিন। বা যাদের প্রতি আপনি কৃতজ্ঞ ছিলেন এর আগে। 
বর্তমান কাল ব্যবহার করে সেগুলো কে লিখতে থাকুন।
 নিয়ম করে এই কাজটি আপনি এক মাস করে দেখুন, আপনি অচিরেই আবিষ্কার করবেন আপনার ভালো লাগার কত কি কারন আছে।
 এই নেই,  কি ওই নেই, এই নিয়ে ভাবতে ভাবতে আপনি ভুলে যান নি তো আপনার কাছে কি কি আছে? 

আকর্ষণের সূত্র।। অর্থ আকর্ষণ।।

 সহজ জাদু এবং অর্থ আপনার হাতের মুঠোয়।


উপরের কথাটি অযৌক্তিক ও অবাস্তব হলেও সম্পূর্ণরূপে সত্যি। কারণ অর্থ বা টাকা-পয়সাকে তালু বন্ধী করতে জাদুর প্রয়োজন। এবং সেই জাদুর নিয়ম কানুন আপনাদের জানাও প্রয়োজন।


ধরুন পরিচিত বাচেনা একজনের হঠাৎ করে অর্থসম্পত্তি প্রাপ্তি ঘটলো?

আপনি কেমন অনুভব করেন সেই সময়? তার উন্নতির জন্য আনন্দ। না মনে-মনে তার জন্য ঈর্ষান্বিত। যদি ঈর্ষান্বিত হন তাহলে কিন্তু মহাবিপদ। কারণ অর্থও আপনার থেকে দূরে পালাবে।


 এর আগে আমরা আলোচনা করেছিলাম আমি ও আমরা একসূত্রে বাধা। তাহলে আমাদের কারো অর্থ লাভ হলে, 'আমি কেন বিষন্ন হব?'

 মনে বিষন্নতার সৃষ্টি বিষন্ন পরিবেশে জন্ম দেয়। আমার তো তার জন্য আনন্দিত হওয়া উচিত। নয় কি ?


কারণ এর আগে আমি বলেছি, মহাবিশ্ব একটি বৃহত্তর ব্রেনের মত। যার ভাষা জ্ঞান নেই কিন্তু অনুভূতি জ্ঞান আছে।


 তাই সে অন্যের জন্য আপনার অর্থপ্রাপ্তি হওয়ার ঈর্ষান্বিত অবস্থাকে অনুভব করে নিতে পারে। ঈর্ষান্বিত অর্থের দুঃখের ফিলিংস জন্ম দেয়। তা পরোক্ষভাবে অর্থাভাবকে প্রকাশ করে আপনার সামনে।

তাই পরবর্তী সময়ে অন্য মানুষের অর্থপ্রাপ্তির কথা শুনলে উৎসাহিত ভাবে তার জন্য আনন্দ অনুভব করুন। অনুভব করুন আপনিও সমানভাবে অর্থ প্রাপ্ত হয়েছেন। সেই অর্থপ্রাপ্তির যে ফিলিংস তাকে অভিনয় মাধ্যমে জন্ম নিতে হবে আপনার মনে। আপনার বাহ্যিক মন তার অবিকল অভিনয় করবে। এবং অন্তর মনে জমা হবে সেই সুখের অনুভূতি। যা আপনার অর্থপ্রাপ্তির রাস্তা সুনিশ্চিত করবে।


অর্থ হাতে আসার আগেই, নিজেকে ধনী মনে করা, 'ল অফ অ্যাট্রাকশন' এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্র্যাকটিস।


আপনি মনে মনে কল্পনা করুন আপনার কত অর্থের প্রয়োজন? মহাবিশ্বের কাছে সেই অর্থের প্রয়োজন প্রকাশ করুন। তাকে জানান, যে আপনার এই মুহূর্তে এইরূপ অর্থের প্রয়োজন। সেটা এক টাকাও হতে পারে 100 কোটি টাকা হতে পারে। 1 এবং 100 কোটির মধ্যে মহাবিশ্বের কাছে কোন পার্থক্য নেই। সে শুধু আপনার ইচ্ছা কে অনুভব করতে পারে।


 মনে মনে অনুভব করুন সেই টাকা আপনার প্রাপ্ত হয়েছে। সেই টাকা আপনার কাছেই আছে। আপনার আলমারিতে আপনার হাতের নাগালে। যতদূর আপনি আপনার স্বপ্নকে কল্পনা করতে পারছেন কল্পনা করুন।


 বৃহত্তর কিছু পাওয়ার আগে আমি আশা করব আপনারা ছোট কিছু দিয়ে প্র্যাকটিস শুরু করবেন। কারণ ছোট কিছু এচিভ করতে পারলেই আপনার বৃহত্তর কিছু পাওয়ার প্রতি কনফিডেন্স জন্মাবে। 


 কল্পনায় আপনি আপনার দাবি রাখুন কল্পনায় আপনি তাকে প্রাপ্ত করুন ও কল্পনায় মহাবিশ্বের প্রতি কৃতজ্ঞ হন।

কিভাবে এই অর্থ প্রাপ্ত হবে কি তার কি প্রক্রিয়া হবে! এটা ভাবা আপনার কাজ নয়। আপনার কাজ শুধু চাওয়া। সেই চাওয়া বাস্তবায়িত হয়েছে তার কল্পনা করা।



 

কাগজ-কলম হাতে তুলে নিন। তাতে লিখুন আপনার এই মুহূর্তেই টাকার প্রয়োজনীয়তা আছে। লেখার সময় বর্তমানকাল ব্যবহার করুন। এমনভাবে লিখুন এই টাকা আপনি প্রাপ্ত হয়েছেন।
 আপনি এভাবে লিখতে পারেন “ আমি বর্তমানে খুব খুশি যে আমার কাছে এই সংখ্যার অর্থ রয়েছে, আমি বর্তমানে খুব খুশি কারণ আমার জীবন সুখ ও সম্পদে পরিপূর্ণ ”
 হ্যাঁ এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রাক্টিস। যার মাধ্যমে আগামী কিছুদিনের মধ্যেই আপনার চারপাশে আপনি শুভ পরিবর্তন অনুভব করতে শুরু করবেন।

নিজেকে বদলান। ভগবানের সাহায্যে। ভগবত গীতার সাহায্যে।


 নিজেকে বদলে ফেলবো, এমন কথা আমরা হামেশাই হুঙ্কার দিয়ে বলি। হয় বন্ধু-বান্ধবের সামনে। না হলে বাবা-মায়ের সম্মুখে। নতুবা মনে-মনে শপথ নি। এতে কিছুই হয় না। বরং একটা মিথ্যে বাড়ে।

  যে অভ্যাস গভীরে, তাকে অগভীর চিন্তাশক্তি দিয়ে বদলানো একপ্রকার অসম্ভব। যে চোখ দৈনন্দিন বিনোদনে অভ্যস্ত তাকে রাতারাতি ওয়াশ করা সম্ভব নয়। সমালোচনায় যারা শান্তি খোঁজে, তাদের কাছে পরোক্ষ ভাবে অশান্তিই কাম্যতা। যে মন ভালোবাসার পিছনে শুধু আমার-আমার করে নাচে, তাকে সবার জন্য বিলিয়ে দেওয়া সম্ভব নয়... 


মানুষের কাছে কোনো অখাদ্য নায়কের যুক্তিহীন তিন ঘন্টার সিনেমা দেখার সময় আছে। বাইশ জন মানুষ ক্রিকেট খেলবে, সেই খেলা দেখে তাদের ধনী করার সময় আছে। অথচ তাকে গীতা পড়ার রাস্তা দেখালে তার কাছে সময় কম পরে যায়।
আবার সেই মানুষই ভুলে ভরা জীবনের একের পর এক ভুলকে স্মরণ করে। হতাশায় ভেঙে নিজেকে দোষারোপ করে ঘন্টার পর ঘন্টা চিন্তা করে সময় ব্যয় করে। এদিকে গীতার দুটো শ্লোক পড়া তার কাছে অসহ্য হয়ে ওঠে।


নেশায় আর আসক্তিতে জীবনের সব সব মূল্যবোধ বিকিয়ে দিয়ে ভগবানকে দোষারোপ করে সাময়িক শান্তি লাভের মূর্খ চেষ্টা। কিন্তু ভগবান কি বলে গেছিলেন, সেগুলো পড়ার জন্য তার একটা দিন সময় হয়নি। একটা পশু ও মানুষের মধ্যে পার্থক্য -- মানুষ ভগবানকে উপলব্ধি করতে সক্ষম। তবুও ইচ্ছে হয়না মানুষের তাকে উপলব্ধি করার। 



 বৃদ্ধাশ্রমে বসে বৃদ্ধ পিতা-মাতা ভাবে নিজের সন্তান তাদেরকে এই ঠিকানা দিলো, কেন দিলো? সেটা ভাবতে পারে কি ? সেখানেও আমি এসে বাধ সাধে। আমি এতো কিছু করলাম তাতেও এই পরিণতি। একটা কাজও কি ভগবানের নির্দেশ মতো করা ছিলো। যদি না হয়, তবে নরকের পরিণতি ভবিতব্য। সবার দোষ খুঁজে বার করা শেষ হলে, ভগবানের দোষ দেওয়া শুরু। ভগবানের নির্দেশ মতো জীবনে একটা দিন কি কেউ কাটিয়েছিলো? কি নির্দেশ ছিল তার! সেই সম্পর্কে কিছু কি ধারনা আছে? নাকি নিজের মনগড়া ভগবানের নির্দেশ ? না কোনো সিনেমা সিরিয়ালের ভগবানকে দেখে শেখা। নিজের মনের মত মনগড়া ভগবানের তাদের মতোই ফলাফল। ভগবানকে চিনতে ভগবতগীতার আশ্রয় নিন। নিজের কল্পনার বা টিভি-সিরিয়ালের নয়..

'ফ্রি' একটি ফাঁদ

 আমরা কোন পথে হাঁটছি! এ সমাজে একজন অভিনয় করার বিনিময়ে লক্ষধিক কি কোটি টাকা উপার্জন করে। কেউ ক্রিকেট খেলে 7 কোটি টাকার বেশী আয় করে। যদি তার ক্যাটাগরি ভারতীয় দলে A+ হয়। গত বছর আমি নিজের পাড়াতে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠানে সাত-আট বছরের বাচ্চা মেয়েদের যে গানটিতে মঞ্চে নাচতে দেখেছিলাম, গানটি ছিলো “ও শারাবি ক্যা শারাবি যো নাশে মে না রহে।” 


এই দেশের সীমান্ত রক্ষায় সিয়াচিন বর্ডারে হিমাঙ্কের অনেক নিচে থাকা তাপমাত্রায় যে সেনা নিয়োগ থাকে, তার বেতন বিরাট কোহলির এক হপ্তার পানীয় জলের খরচ। কঠিন হলেও এটাই বাস্তব। অথচ বিরাট কোহলি শুধু মাত্র আমাদের বিনোদন করে। আর সেনা সীমান্ত রক্ষায় জীবন দেয়। তারা দেশের সীমান্তর এমন স্থান রক্ষা করতে ব্যস্ত যেখানে বিনোদন শব্দটিও পৌছায় না। আবার সেই ভারতেই ভাষাবাদী আর জাতীয়তাবাদী আন্দোলন হয়। দেশের ভিতরের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ একে ওপরের চেয়ে বেশী প্রাধান্য দাবী করে। দেশের অখন্ডতাকে বিসর্জন দেওয়ার চেষ্টা করে।


 সেই ভারতেই সাধারণ মানুষকে তাদের জননেতারা পণ্য দ্রব্য মনে করে। 500 টাকা একাউন্টে ফ্রিতে ঢুকে পরে। মানুষ তাতে সন্তুষ্ট হয়ে যায়। তারা বোঝেনা এই পৃথিবীতে কিছুই ফ্রি'তে আসে না। যখন কিছু ফ্রি দেওয়া হয়, সেক্ষেত্রে প্রোডাক্ট সে নিজে। ফ্রি দিয়ে তাকেই ক্রয় করা হচ্ছে। কিনে ফেলা হচ্ছে তার সত্তাকে। কিনে নেওয়া হচ্ছে তার কর্মক্ষমতা। কিনে ফেলা হচ্ছে তার প্রশ্ন করার অধিকার। নিজের অজান্তে সে পরিণত হচ্ছে পণ্যে। 

 এই দেশে মহামারীতে পানশালা খোলা থাকে, বন্ধ থাকে পাঠশালা। আমরা কোন অযোগ্য মানুষের হাতে শাসনভার তুলে দিয়ে রেখেছি। যারা এটা বিশ্বাস করে, দেশের অর্থনীতি সচল থাকে মদ বিক্রিতে। আর ব্যর্থ হয় শিক্ষা সচল থাকলে।


 

জনগণ আজ আর প্রশ্ন করেনা। কারণ তারা ভিন্ন ভিন্ন প্রক্রিয়াতে কারো না কারো কাছে বিক্রি হয়ে গেছে। আর বিক্রি হওয়া ক্রীতদাসরা মালিককে প্রশ্ন করার অধিকার হারায়।।


Aveek Chowdhury

মানবিকতার ভাষা!! প্রেমের ভাষা।

 মানবিকতার ভাষা!! প্রেমের ভাষা।



খ্রিস্টপূর্ব প্রথম সহস্রাব্দ থেকে বাংলায় হিন্দু ব্রাহ্মণগণ সংস্কৃত ভাষার চর্চা করত, কিন্তু স্থানীয় বৌদ্ধরা প্রাকৃত ভাষার কোন কোন রূপে (ভ্যারাইটি) কথা বলত, যাকে ডঃ সুনীতি কুমার চট্টোপাধ্যায় উল্লেখ করেছেন মাগধী প্রাকৃতের পূর্ব রূপ বা ভ্যারাইটি হিসেবে। গুপ্ত সাম্রাজ্যের সময়, বাংলা ছিল হিন্দু যাজক বা পুরোহিতদের জন্য সংস্কৃত সাহিত্যের একটি কেন্দ্র, যা স্থানীয়দের কথ্য ভাষাকে প্রভাবিত করে।প্রথম সহস্রাব্দে বাংলা যখন মগধ রাজ্যের একটি অংশ ছিল তখন মধ্য ইন্দো-আর্য উপভাষাগুলি বাংলায় প্রভাবশালী ছিল। এই উপভাষাগুলিকে মাগধী প্রাকৃত বলা হয় এবং এটি আধুনিক বিহার, বাংলা ও আসামে কথিত হত। এই ভাষা থেকে অবশেষে অর্ধ-মাগধী প্রাকৃতের বিকাশ ঘটে।প্রথম সহস্রাব্দের শেষের দিকে অর্ধ-মাগধী থেকে অপভ্রংশের বিকাশ ঘটে। সময়ের সাথে সাথে বাংলা ভাষা একটি স্বতন্ত্র ভাষা হিসেবে বিকশিত হয়।


এতো গেলো বাংলা ভাষার উৎপত্তির ইতিহাসের কথা। এবার প্রশ্ন আসে মানবিকতার ভাষা কি ? প্রশ্ন আসে নিজের গৃহ পালিত পশুকে মানুষ কোন ভাষায় ভালোবাসে? মাতৃত্বের ভালবাসার ভাষা কি? সে ভালোবাসা ভাষাবিদরা কোন ভাষার অন্তর্ভুক্ত মনে করেন ? প্রকৃতির প্রতি যে ভালোবাসা জন্মায় তাকে কোন ভাষায় নামকরণ করা হয় ? ভক্তের সাথে ভগবানের ভালোবাসাকে বিশ্ব কি নামে চেনে?


এর উত্তর গুলো আমি সে ভাষাবিদদের কাছে জানতে চাই, যারা পশ্চিমবঙ্গকে বাংলাদেশে যুক্ত করার চক্রান্ত চালাচ্ছে। জানতে চাই তাদের কাছে, যারা ভারতের অখন্ডতা ভুলে গিয়ে যারা মুম্বাইতে মারাঠি ভাষার প্রাধান্য দিয়ে অন্য রাজ্যের মানুষকে কাজ করতে বাধা দেয়?


 যারা ব্যক্তিগত স্বার্থ কায়েম করতে এটা বোঝায় ভারতের মানুষ ভারতের মানুষের শত্রু। তারা এটা জানে না সেই ভাষাই সুন্দর যে ভাষা প্রেমের কথা বলে।। জানে না কারণ প্রেম অসুরের প্রবৃত্তি নয়।


ভাষার উন্নতি কিসে? ভাষাকেন্দ্রিক প্রতিবাদে না ভাষায় সাহিত্য রচনায়। যাদের সাহিত্য পড়ে আমরা বড় হয়েছি, তারা কি ভাষাকেন্দ্রিক প্রতিবাদে আমাদের ভাষার মর্যাদা বাড়িয়েছেন! না ভাষায় অমর সাহিত্য সৃষ্টির মাধ্যমে এই কাজ করেছেন ? এবার প্রশ্ন আসে গীতিকার পুলক বন্দ্যোপাধ্যায়কে বাংলা ভাষায় অমর গান রচনা করতে, ধর্ণা দিতে হতো, না তাকে একাত্ম হয়ে গান লিখতে হতো? ধর্ণা দিলে উনি গান লিখতেন কখন সেই বিষয়ে প্রশ্ন থাকতেই পারে। যেখানে শিল্পীর শিল্পীসত্তা কিছু নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের দ্বারা আবদ্ধ হয়ে পরে, তাদের থেকে কি যুগান্তকারী শিল্পভাবনা আপনারা আশা করতে পারেন?


 সত্তাহীন সৃষ্টিতে আত্মা থাকে না, থাকে  কমার্শিয়ালিটি। যা মুনাফার উদ্দেশ্যে তৈরি করা। মুনাফায় তার ব্যক্তিগত ভালো হতে পারে,  ভাষার ভালো হতে পারেনা।


   বাঙালি বাংলা ভাষায় গল্পের বই পড়তে চায় না।

বাঙালি বাংলা গান শোনার প্রতি আগ্রহ ক্রমশ হারাচ্ছে। 

এগুলো কাদের অক্ষমতা, আমাদের সাহিত্য সৃষ্টি করার অক্ষমতা, না হিন্দি ভাষার প্রসার। প্রশ্ন থাকলে নিজের অন্দরমহলে প্রশ্নের উত্তর খুঁজুন।


Aveek Chowdhury

হ্যারি পটার ও শ্রীকৃষ্ণ

 কাকতালীয় !


আমরা ভারতীয়রা কোনোদিন কোনো আবিষ্কারের ক্রেডিট নিতে চাইনা। ধরুন বিজ্ঞান এতো-এতো উন্নতি করছে।  সারা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের কাছে অত্যাধুনিক আবিষ্কারের পেটেন্ট আছে। কিন্তু ভারতবর্ষ কোনদিনও শূন্য আবিষ্কারের পেটেন্ট চায়নি। এমনকি ক্রেডিট ও চায়না। আমরা এরোপ্লেন আবিষ্কারের ক্রেডিট নেই'না। আমরা ডারউইনকে বিবর্তনবাদের জনক রূপে ক্রেডিট দেই। কারণ আমরা বিষ্ণুপুরাণ কি যথার্থ ভাবে উপলব্ধি করতে পারিনি। পারলে দেখতাম বিবর্তনবাদের সংকেত সেখানে খুব সহজে দেওয়া আছে। ব্যাসদেব ক্রেডিট চান না। যেমন তিনি জে.কে রাওলিং এর থেকেও হ্যারিপটার লেখার ক্রেডিট চাননি।


এটা বলার জন্য আমাকে অনেক কথা শুনতে হবে জানি। তাই চলুন আমরা হ্যারি পটার ও শ্রীকৃষ্ণের জীবনের সাদৃশ্য খুঁজে বের করি।


হ্যারি পটার গল্পের মুখ্য ভিলেন লর্ড ভলডেমর্ট কেন হ্যারিকে হত্যা করতে চাইতো ? এখানেও কারন ছিল একটি ওরাক্যাল। অর্থাৎ একটি দৈব ভবিষ্যতবাণী। লিলি পটার এবং জেমস পটারের সন্তানের হাতে ভলডেমর্টের মৃত্যুর দৈববাণী।


 মথুরারাজ কংসের  কৃষ্ণকে মারতে চাওয়ার কারণ ছিল সেই একটাই। নিজের বোন দেবকীর অষ্টম সন্তানের হাতে কংসের মৃত্যুর দৈববাণী।


কৃষ্ণ নিজের ভাই ও বোনের সাথে তার শৈশব কাটিয়েছিল। হ্যারি পটারের দুই ঘনিষ্ঠ বন্ধুর নাম রণ উইজলি এবং হারমাইনি। 


কৃষ্ণের ছোটোবেলার মতো হ্যারি পটারের ছোটবেলা নিজের বাড়িতে কাটেনি। কেটেছে ভিন্ন জায়গাতে। সেখানে তারা বাড়ির মতোই পারিবারিক ভালোবাসাতে বড় হয়। 


   কৃষ্ণকে মারার জন্য কংস বহু রাক্ষুস ও অসুর পাঠিয়েছিল গোকুল এবং বৃন্দাবনে।  হ্যারিকে মারার জন্য লর্ড ভলডেমর্ট  বহু মায়াবী জাদুকরকে পাঠিয়েছিল হগবর্টসে।


   কৃষ্ণ শৈশবে কালিয়া বলে এক বিশালাকার সাপকে দমন করে। সেই সাপ যমুনার জল বিষাক্ত করে দিয়েছিল। চেম্বার অফ সিক্রেটসে হ্যারি পটারকে কালদৃষ্টি বলে এক বিশাল আকার সাপকে হত্যা করতে হয়।


     ভগবান বৃষ্ণুর প্রিয় বাহন হচ্ছে গড়ুর পাখি ।। হ্যারি পটারের অনুগত একটি গড়ুর পাখি ছিলো। যাকে বাঁচানোর জন্য হ্যারি ও হারমায়নিকে টাইম ট্রাভেল করতে হয়। 


   এছাড়া আপনি চাইলে ডাম্বলডোর কে পিতামহ ভীষ্ম চরিত্র হিসেবে কল্পনা করতেই পারেন। হ্যারি পটার Harry Potter & The Deathly Hallows এর অন্তিম যুদ্ধকে একটু অন্য মাত্রায় এঁকেছেণ রাওলিং । এখানে হ্যারিকে উনি অর্জুনের জায়গায় দাঁড় করিয়েছেন। যুদ্ধক্ষেত্রে অর্জুন এর বিপরীতে যেমন তার প্ৰিয়জনরা ছিলো, হ্যারির বিপরীতের অবস্থাও তাই ছিল। সেখানে তার পরিচিতরাই তার শত্রু হয়ে দাঁড়িয়েছিল। এছাড়াও বহু মিল আছে। 


    জে কে রাওলিং কে আমি এই কারণেই আরো বেশী সন্মান করি যে উনি প্রকাশ্যেই এই সমানতার সংকেত রেখেছিলেন। তা না হলে নামটা হ্যারি পটার রাখতেন না। এবার চাইলে আপনি হ্যারি ও হরি এক ব্যক্তি ভাবতেই পারেন।


  রাউলিং এই  উপন্যাসটি লেখার আগে জীবনে অত্যন্ত কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে গেছিলেন। আজ আধুনিক পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ লেখিকাদের মধ্যে উনি একজন। ওনার কাছে আমি আজীবন কৃতজ্ঞ থাকব আমাকে হ্যারি পটার গিফট দেওয়ার জন্য।


যে মানবে না সে কিন্তু মগলু, আধুনিক নাস্তিক 😉


লেখা : Aveek Chowdhury


আপনার বর্তমান পরিচিতি, আপনার অতীতের চিন্তার ফল

 মানুষের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ মস্তিষ্ক। মস্তিষ্ক এমন এক আশ্চর্য শক্তি যা সর্বদা আপনার সাথে থাকে। সত্যজিৎ রায়ের সৃষ্ট বিখ্যাত গোয়েন্দা ফেলু...