মানুষের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ মস্তিষ্ক। মস্তিষ্ক এমন এক আশ্চর্য শক্তি যা সর্বদা আপনার সাথে থাকে। সত্যজিৎ রায়ের সৃষ্ট বিখ্যাত গোয়েন্দা ফেলুদার মগজ অস্ত্রের মতো।
চেতনা দুটি স্তর থাকে বাহ্যিক স্তর অভ্যন্তরীণ স্তর। বলা যেতে পারে একটি সক্রিয় যা তর্ক করতে সক্ষম। ওপরটি তর্ক করতে সক্ষম নয়। বাহ্যিক স্তর দিয়ে আমরা বাহ্যিক জগতকে অনুভব করি সেই মতো করে চিন্তার জন্ম দি। এই চিন্তা জমা হয় মনের অভ্যন্তরীণ স্তরে। অভ্যন্তরীণ স্তর যাকে আমরা সাবকনসাস মাইন্ড নামে জানি.এই বিচারধারা প্রকৃতির অনুরূপ পরিবেশ তৈরি করার কাজ করে।
একটি চমকপ্রদ উদাহরণ।
“ আপনি নিজের ঘরের দিকে একবারটি চোখ বুলিয়ে দেখুন। দেখতে পাবেন আপনার ঘরে যাবতীয় জিনিস যা সকল মজুদ আছে, সবই প্রায় আপনার কল্পনার ফল। যাদের আপনি প্রয়োজন বোধ করেছেন এবং যাদের কল্পনা করেছেন। বর্তমানে তারাই আপনার ঘরে মজুদ। আপনার পছন্দ করা হাতঘরি কি শীতের প্ৰিয় সোয়েটার।”
এতে গুরুতর প্রমাণ আপনি কি আশা করেন ?
ঠিক তেমনি আপনি আপনার জীবনে যে পরিস্থিতিতে বর্তমানে দাঁড়িয়ে আছেন তা একমাত্র আপনি কল্পনা করেছেন। সর্বদা মনে রাখবেন আপনার অবচেতন মন যদি কোন বিচারধারাকে গ্রহণ করে নেয়, তখন আসছে তার প্রতি কাজ করা শুরু করে। অবচেতন মন অনুভূতির ভাষা বোঝে। অনুভূতিরা দু'প্রকার ভালো অথবা মন্দ। যদি আপনি সর্বদা খারাপ অনুভব করেন সেক্ষেত্রে অবচেতন মনে দুঃখ হতাশা ব্যর্থতা এই প্রকৃতির বার্তা পৌঁছয়। অনুরূপভাবে প্রকৃতি আপনার জন্য সেই মায়াজাল তৈরি করে। বিপরীতভাবে আপনি যদি আনন্দ -সুখ-ভালোবাসা অনুভব করেন তাহলে আপনি আপনার চারদিকে সেই বস্তু গুলিকেই আকর্ষণ করবেন।
এই প্রকারের চিন্তাধারাই সুস্বাস্থ্য সমৃদ্ধি ও ও সফলতা প্রাপ্তির জাদু।
তাই নিজেকে দিনে বারংবার প্রশ্ন করুন আপনি কেমন অনুভব করছেন, নিজেকে তার উত্তর দিন আপনি দারুন অনুভব করছেন। নির্ভর করে না সেই মুহূর্তে আপনার পরিস্থিতি কি রকম কিন্তু আপনি অনুভব দারুন করছেন। এই বার্তা আপনার অবচেতন মনে পৌঁছাবে এবং অবচেতন মন সেই অনুযায়ী বাস্তবের প্রকৃত রূপ দিতে অগ্রসর হবে।
কোন নেতিবাচক শব্দ ব্যবহার করবেন না।
* ভালো লাগছে না।
*না আমার দ্বারা কিছুই হচ্ছেনা।
* আমার বয়স বেড়ে যাচ্ছে।